শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০০৮

চাণক্যচয়ন

==========================
সবটা ঠিক ঠিক পড়তে হলে সংগে দেওয়া লিংক থেকে ফন্ট ফ্রি ডাউনলোড করে নিতে হবে৤বিনামূল্যে বাংলা ইউনিকোড ফন্ট সরাসরি ডাউনলোড করুন নিচের এই লিংকে ক্লিক করে৤

উন্নত বাংলা ফন্ট  ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip



অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet setting)

(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)

on internet(Mozilla Firefox)
(top left) Tools  
              Options > contents
              Fonts & Colors
              Default font:=AhanLipi-Bangla14
                        Advanced...
                                    Fonts for: =Bengali
                                    Proportional = Sans Serif,   Size=20
                                    Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Sans Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Monospace=AhanLipi-Bangla14,  Size=20
                                    -->OK
            Languages
            Choose your preferred Language for displaying pages
            Choose
            Languages in order of preference
            Bengali[bn]
            -->OK
  --> OK

          এবারে ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে৤ নেটে একই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে৤





যুক্তবর্ণ সরল গঠনের৤ ‎
বুঝতে লিখতে পড়তে সহজ৤ ‎
===========================


চাণক্যচয়ন

চাণক্যচয়ন

পুরাকালে মহামতি চাণক্য যেসকল উপদেশ দিয়ে গেছেন তা এখনও সমান বাস্তব ও কার্যকর৤ এই উপদেশাবলী লোকের কাছে সহজে পৌঁছাবার জন্য এই প্রয়াস৤
[ গ্রন্থ সহায়তা: চাণক্যচিন্তামণি --জ্যোতিভূষণ চাকী ও অন্যান্য নানা উৎস ও  গ্রন্থ৤ ]

সংগ্রাহকের মন্তব্য : মূলত পুরুষদের দিকে তাকিয়ে এসকল কথা বলা হয়েছে৤





●অকর্মারা সদাই ক্ষুধার্ত৤
●অকৃতজ্ঞের নরক বাস হয়৤
●অখণ্ডিত রত্ন মেলে না৤
●অতিদর্পে লঙ্কার পতন ঘটেছে, অতিমানে কৌরবদের পতন ঘটেছে, অতিদানে বালির পাতাল বাস ঘটেছে, অতিরিক্ত সব কিছুই খারাপ৤
●অতি পরিচয়ে দোষ আর ঢাকা থাকে না৤
●অতিরিক্ত ভার পুরুষকে অবসন্ন করে দেয়৤
●অধমেরা ধন চায়, মধ্যমেরা ধন ও মান চায়৤ উত্তমেরা শুধু মান চায়৤ মানই মহতে ধন৤
●অনেকে চারটি বেদ এবং ধর্ম শাস্ত্র অধ্যয়ন করলেও আত্মাকে জানে না, হাতা যেমন রন্ধন-রস জানে না৤
●অন্তঃসার শূন্যদের উপদেশ দিয়ে কিছু ফল হয় না, মলয়-পর্বতের সংসর্গে বাঁশ চন্দনে পরিণত হয় না৤
●অন্যে যার গুণগান করে সে নির্গুণ হলেও গুণী৤ নিজের গুণগান নিজে করলে ইন্দ্রও ছোট হয়ে যান৤
●অবহেলায় কর্মনাশ হয়, যথেচ্ছ ভোজনে কুলনাশ হয়, যাচ্ঞায় সম্মান নাশ হয়, দারিদ্র্যে হয় বুদ্ধি নাশ৤
●অবিশ্বস্তকে বিশ্বাস করবে না, বন্ধুকেও বিশ্বাস করবে না, বন্ধু যদি কখনও ক্রুদ্ধ হয়, সমস্ত গুপ্তকথা প্রকাশ করে দিতে পারে৤
●অভ্যাসহীন বিদ্যা, অজীর্ণে ভোজন, দরিদ্রের সভায় বা মজলিশে কালক্ষেপ, এবং বৃদ্ধের তরুণী ভার্যা বিষতুল্য৤
●অমৃত ও বিষ উভয়েরই আকর হল জিভ৤
●অর্থলাভ জীবন ধারণের জন্য৤
●অর্থলাভের বাসনা কুকাজে সিদ্ধ হয় না৤
●অর্থ যার আছে সে মিত্র, স্বজন, সংসারে পুরুষ, সে-ই পণ্ডিত৤
●অসতর্ক লোকের প্রায় সকল কাজই সমুদ্রে বিদীর্ণ জলযানের মতো নিশ্চিত বিনষ্ট হয়৤
●অহংকারের মতো শত্রু নেই৤


●আকাশে উড়ন্ত পাখির গতিও জানা যায়, কিন্তু প্রচ্ছন্নপ্রকৃতির কর্মীর গতিবিধি জানা সম্ভব নয়৤
●আদর দেওয়ার অনেক দোষ, শাসন করার অনেক গুণ, তাই পুত্রকে ও শিষ্যকে শাসন করাই দরকার, আদর দেওয়া নয়৤
●আদরের অনেক দোষ,শাসনের অনেক গুণ৤তাই পুত্র ও শিষ্যকে বেশি আদর না দিয়ে শাসন করবে৤
●আপদের নিশ্চিত পথ হল ইন্দ্রয়গুলির অসংযম, তাদের জয় করা হল সম্পদের পথ-- যার যেটি ঈপ্সিত সে সেই পথেই যাক৤
●আপন চরিত্র কখনও দূষিত করবে না৤
●আহারের সংস্থান ও আহারের শক্তি, রমণীয় পত্নী ও রতিশক্তি, ঐশ্বর্য ও দানশক্তি __এসব অল্প তপস্যার ফল নয়৤
●আড়ালে কাজের বিঘ্ন ঘটায়, কিন্তু সামনে ভালো কথা বলে, উপরে দুধ আর ভিতরে বিষ কলসির মতো, তাকে পরিত্যাগ করা উচিত৤
●আয়ু কর্ম ধন বিদ্যা ও মৃত্যু __মানুষ মাতৃগর্ভে থাকাকালে এই পাঁচটি তাদের জন্য নির্ধারিত হয়ে যায়৤


●ইন্দ্রিয়ের যে অধীন তার চতুরঙ্গ সেনা থাকলেও সে বিনষ্ট হয়৤
●ইন্দ্রের মন্ত্রিপরিষদ হল সহস্র ঋষি, ওই সহস্র ঋষিই তাঁর চোখ৤ তাই দুটিমাত্র চোখ থাকলেও তাঁকে সহস্রাক্ষ বলা হয়৤




●উপায়জ্ঞ মানুষের কাছে দুঃসাধ্য কাজও সহজসাধ্য৤
●উৎসবে বিপদে দুর্ভিক্ষে শত্রুর সঙ্গে সংগ্রামকালে রাজদ্বারে এবং শ্মশানে যে সঙ্গে থাকে সে-ই বন্ধু৤




●ঋণ, অগ্নি ও ব্যাধির শেষ রাখতে নেই, কারণ তারা আবার বেড়ে যেতে পারে৤
●ঋণকারী পিতা, দুঃশীলা মা, রূপবতী স্ত্রী, মূর্খ পুত্র __এরা সকলেই শত্রু৤


●একই জিনিস কিন্তু, শব কামিনী ও মাংস __এই তিনটি জিনিসকে যোগী, কামী ও কুকুর তিনভাবে দেখে৤
●একটা কাজ শেষ করে পরবর্তী কাজ ধরতে বেশি দেরি করা উচিত নয়৤
●একটি দোষ বহু গুণকেও গ্রাস করে৤
●একটি কুবৃক্ষের কোটরের আগুন থেকে যেমন সমস্ত বন ভস্মীভূত হয়, তেমনি একটি কুপুত্রের দ্বারাও বংশ দগ্ধ হয়৤
●একটি গাছে ছিল নানা রঙের পাখিরা, ভোরের বেলায় তারা দশ দিকে উড়ে গেল এতে দুঃখের কি আছে?
●একটিমাত্র পুষ্পিত সুগন্ধ বৃক্ষে যেমন সমস্ত বন সুবাসিত হয়, তেমনি একটি সুপুত্রের দ্বারা সমস্ত কূল ধন্য হয়৤
●একবার বললেই যিনি বুঝে নিতে পারেন, যাঁর তাড়াতাড়ি হাত চলে, যাঁর হস্তাক্ষর সুন্দর এবং সর্বশাস্ত্রে যিনি সমদৃষ্টি তিনিই যথার্থ লেখক হতে পারেন৤
●একশত মূর্খ পুত্রের চেয়ে অটি গুণী পুত্র বরং ভালো৤একটি চন্দ্রই অন্ধকার দূর করে, সকল তারা মিলেও তা পারে না৤
●একা একা তপস্যা, দুইয়ে মিলে পাঠ, তিনে মিলে গান, চারে মিলে ভ্রমণ, আর পাঁচে মিলে (করলে) ক্ষেতের কাজ৤ বহুতে মিলে করা চলে যুদ্ধ৤
●একা চাকা চলে না৤
●এমনিতে কেউ কারও বন্ধু নয়, কেউ কারও শত্রু নয়, কারণেই শত্রু-মিত্র হয়ে থাকে৤






●কবিরা কি না দেখে, স্ত্রীলোকেরা কি না করে, মদ্যপেরা কি না কল্পনা করে, কাকেরা কি না খায়?
●করণীয় কাজ সময়মতো না করলে ‘কাল’ই তার ফল শুষে নেয়৤
●কর্কশ কথা অগ্নিদাহের চেয়েও ভয়ঙ্কর৤
●কাক দিনের বেলা পেঁচাকে মারে, আর রাতে সেই পেঁচাই কাককে মারে৤(যুদ্ধে সময়জ্ঞান খুবই জরুরি)৤
●কাজ সমাপ্ত বা সফল হলে তবেই তা প্রকাশ করা উচিত৤
●কাজে ব্যর্থ হয়ে তার নানা বিঘ্নের কথা শুধু মূর্খেরাই বলে থাকে৤
●কাঠে দেবতা নেই, পাথরে বা মাটির জিনিসেও নেই৤ ভাবেই তিনি আছেন৤ ভাবের কারণেই সত্তা৤
●কাম হচ্ছ এমন জিনিস যা ধর্ম ও অর্থ কোনওটাই বাড়ায় না৤
●কামাসক্তের কার্যসিদ্ধি হয় না৤
●কালই প্রাণীকে পরিণতি দান করে, কালই মানুষকে সংহার করে, সকলে যখন ঘুমন্ত __কাল তখন জেগে থাকে, কালকে অতিক্রম করা দুঃসাধ্য৤
●কালকের করণীয় কাজ আজকেই করা উচিত৤
●কুদেশে এলে অর্থ সঞ্চয় হবে কি করে? কুপুত্র লাভে জলাঞ্জলির(তর্পণ করার)আশা কোথায়? কুগৃহিণী থাকতে গৃহে সুখ হবে কি করে? কুশিষ্য পড়িয়ে গুরুর যশ হবে কি করে?
●কুলীনের সঙ্গে সম্পর্ক, পণ্ডিতের সঙ্গে মিত্রতা এবং জ্ঞাতিবর্গের সঙ্গে মিলমিশ যে বজায় রাখে তার বিনাশ নেই৤
●কুয়োর জল, বটের ছায়া, যৌবনবতী স্ত্রী এবং ইটের তৈরি বাড়ি শীতকালে উষ্ণ এবং গ্রীষ্মকালে শীতল৤
●কূলের স্বার্থে একজনকে ত্যাগ করবে, গ্রামের স্বার্থে কূলকে ত্যাগ করবে, জনপদের স্বার্থে গ্রামকেও ত্যাগ করবে, আর নিজের স্বার্থে পৃথিবীকেও ত্যাগ করবে৤
●কোকিলের স্বরই হল তার রূপ, নারীর রূপ হল পতিব্রত, যে কুরূপ বিদ্যাই তার রূপ, আর তপস্বীর রূপ হল ক্ষমা৤
●কোনও দিন সোনার হরিণ তৈরি হয়নি, আগে কখনও দেখাও যায় নি, তবু তাকে ধরার বাসনা হল রঘুনন্দনের৤ বিনাশকালে মানুষের বুদ্ধি হয় বাঁকা৤
●কোনও মানুষকেই অবজ্ঞা করবে না৤
●ক্রোধহীনতা সব কিছু জয় করতে পারে৤


●খন্তা দিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে মাটি থেকে জল পাওয়া যায়, সেই রকম যে শুশ্রূষু সে গুরুগত বিদ্যাকে লাভ করে৤
●খারাপ সময় যতক্ষণ যাচ্ছে ততোক্ষণ শত্রুকে কাঁধে করে রাখবে, সুসময় এলেই পাথরের আঘাতে ঘটের মতো সে সখ্য ভেঙে ফেলবে৤
●খুব বেশি কাছে আসায় হানির সম্ভাবনা, খুব দূরে থাকলেও ফল নেই৤ রাজা, আগুন, আর স্ত্রী এদের মধ্যপন্থায় সেবা করা উচিত৤
●খেয়ে যার হজম হয়, ব্যাধি তার দূরে রয়৤


●গাছের ভয় বাতাসে, পদ্মের ভয় শিশিরে, পর্বতের ভয় বজ্রে, সজ্জনের ভয় দুর্জনে৤
●গুণবানকে আশ্রয় দিয়ে নির্গুণও গুণী হয়৤
●গুণহীন মানুষ যদি উচ্চ বংশেও জন্মায় তাতে কিছু আসে যায় না৤ নীচকূলে জন্মেও যদি কেউ শাস্ত্রজ্ঞ হয়, তবে দেবতারাও তাঁকে সম্মান করেন৤
●গুরু শিষ্যকে যদি একটি অক্ষরও শিক্ষা দেন, তবে পৃথিবীতে এমন কোনও জিনিস নেই যা দিয়ে সেই শিষ্য গুরুর ঋণ শোধ করতে পারে৤
●গৃহে যার মা নেই, স্ত্রী যার দুর্মুখ তার বনে যাওয়াই ভালো, কারণ তার কাছে বন আর গৃহে কোনও তফাৎ নেই৤


●ঘরকুণোর বিদ্যা হয় না, মাংসখোরের দয়া হয় না, লোলুপের সত্যবোধ নেই, যে স্ত্রৈণ তার তেমনি পবিত্রতা নেই৤




●চন্দন তরুকে ছেদন করলেও সে সুগন্ধ ত্যাগ করে না৤ গজরাজ বৃদ্ধ হলেও বপ্রক্রীড়া ত্যাগ করে না, যন্ত্রে ইক্ষু নিপিষ্ট হলেও মধুরতা ত্যাগ করে না, যে সদ্বংশজাত অবস্থা বিপর্যয়েও সে চরিত্র গুণ ত্যাগ করে না৤
●চিন্তাই মানুষের জ্বর, বস্ত্রদের জ্বর হল রোদ, স্ত্রীলোকের জ্বর হল পতির অপ্রিয়তা, ঘোড়াদের জ্বর হল মৈথুন৤


●ছয় কানে(অর্থাৎ তিন জনের কানে) গেলে গুপ্তকথা প্রকাশ হয়ে যায়৤
●ছেলের প্রশংসা করবে না৤


●জগতে ত্রুটিহীন কাজ দুর্লভ৤
●জন্মান্ধ দেখতে পায় না, কামন্ধও দেখতে পায় না, গর্বোদ্ধতও দেখতে পায় না, ধনবানও এদের মতো নিজের দোষ দেখতে পায় না৤
●জরুরি কাজ মন দিয়ে তখুনি করে ফেলা উচিত, সময় মতো না করলে তা কষ্টসাধ্য হয়, অথবা একান্ত অসাধ্য হয়৤
●জলে তেল, খলে গোপন কথা, সৎপাত্রে সামান্য দান, প্রাজ্ঞে শাস্ত্র আপনা থেকেই বিস্তার লাভ করে৤ বস্তুর স্বভাবধর্ম অনুযায়ীই তা হয়ে থাকে৤










●তস্করের ধর্ম কোথায়, দুর্জনের ক্ষমা কোথায়, গণিকাদের প্রণয় কোথায়, কামনাসক্তদের সত্য কোথায়?
●তিনটি বিষয়ে সন্তোষ বিধেয় __নিজের পত্নীতে, ভোজনে এবং ধনে৤ কিন্তু অধ্যয়ন, জপ, আর দান এই তিন বিষয়ে যেন কোনও সন্তোষ না থাকে৤
● ... ত্রিভুবনই আমার স্বদেশ৤




●দণ্ডদানে অতি নির্দয়তাকে সকলেই নিন্দা করে৤
●দর্শনশাস্ত্র সমস্ত বিদ্যার প্রদীপ, সমস্ত কাজের উপায় এবং সমস্ত ধর্মের চিরদিনের আশ্রয়৤
●দান করার স্বভাব, ভালো কথা বলার গুণ, ধীরতা ও ঔচিত্যবোধ __এসব অভ্যাস করে লাভ করা যায় না, এ চারটি স্বভাবগুণ৤
●দান দারিদ্র্য দূর করে, চরিত্র দুর্গতি দূর করে, প্রজ্ঞা অজ্ঞানতা দূর করে, সম্যক্ চিন্তা ভয় দূর করে৤
●দারিদ্র্য, রোগ, দুঃখ, বন্ধন, এবং বিপদ __সব কিছুই মানুষের নিজেরই অপরাধরূপ বৃক্ষের ফল৤
●দারিদ্র্যও শোভা পায় যদি তার সঙ্গে ধৈর্য যুক্ত হয়, কাপড়ও যতই খারাপ হোক যদি তা পরিচ্ছন্ন হয়, তা মানিয়ে যায়৤ অন্ন-ব্যঞ্জন নিকৃষ্ট হলেও যদি তা গরম গরম খাওয়া যায়, তা হলে আর অত খারাপ মনে হয় না৤ তেমনি যদি স্বভাব সুন্দর হয়, রূপ না থাকলেও তাকে হতশ্রী মনে হয় না৤
●দুই ব্রাহ্মণের মধ্যে, ব্রাহ্মণ আর বহ্নির মধ্যে, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে, এবং প্রভু ও ভৃত্যে মধ্যে থাকবে না৤ লাঙল ও বলদের মধ্যে থাকার মতো এগুলিও বিধেয় না৤
●দুধ যার দরকার সে হস্তিনী দিয়ে কী করবে?
●দুধে মেশানো জল দুধেই পরিণত হয়৤
●দুর্জন প্রিয়ভাষী হলেও তাকে বিশ্বাস করবে না৤ জিভে তার মধু, মনে বিষ শুধু৤
●দুর্জনের সংসর্গ ত্যাগ করে সজ্জনের সঙ্গ করবে৤ অহোরাত্র পুণ্য করবে, সর্বদা নশ্বরতার কথা মনে রাখবে৤
●দুর্বলের বল রাজা, শিশুর বল কান্না, মূর্খের বল নীরবতা, চোরের মিথ্যাই বল৤
●দুষ্টা স্ত্রী, প্রবঞ্চক বন্ধু, দুর্মুখ ভৃত্য এবং সসর্প গৃহে বাস যে মৃত্যুর দ্বার এবিষয়ে সংশয় নেই৤
●দেহ যতদিন সুস্থ আছে, এবং মৃত্যু যতদিন দূরে আছে, ততোদিন দেহী নিজের হিত করবে, মরে গেলে আর সে কী করবে?
●দৈব পুরুষকারকেই[পৌরুষ, উৎসাহ,চেষ্টা] অনুসরণ করে৤


●ধনধান্যের আদানপ্রদানে, বিদ্যা উপার্জনে আহারে ও ব্যবহারে সর্বদা লজ্জা ত্যাগ করবে৤
●ধনবান, বেদবিদ ব্রাহ্মণ, রাজা, নদী ও বৈদ্য এই পাঁচটি যেখানে নেই, সেখানে বাস করবে না৤
●ধর্ম, লোকাচার, চরিত্র, ও রাজশাসন এরা বিবাদের ক্ষেত্রে চতুষ্পাদ __শেষেরটি যথাক্রমে আগেরটিকে বাতিল করে দেয়৤
●ধর্মই মানুষকে ঠিক রাখে৤
●ধর্মের চেয়ে ব্যবহারই বড়ো৤
●ধর্মের জন্মভূমি হল দয়া৤
●ধেনুর স্বভাব যে ঠিক মতো জানে, সে-ই দুধ খেতে পায়৤
●ধ্রুব ত্যাগ করে যে অধ্রুবের সেবা করে তার ধ্রুব-নাশ হয়, যা অধ্রুব তা বিনষ্টই৤


●নক্ষত্রটি কী বলে সর্বদাই যে তা জানতে চায়, সম্পদ তাকে ছেড়ে যায়৤ সম্পদই সম্পদের শুভনক্ষত্র৤ অন্য নক্ষত্রেরা কী করতে পারে?
●নখযুক্ত ও শিংওলা প্রাণী, অস্ত্রধারী, নদী, স্ত্রী ও রাজকূলকে কখনও বিশ্বাস করবে না৤
●নদীতীরের গাছ, পরের হাতের অর্থ, স্ত্রীর উপর ছেড়ে দেওয়া কাজ __এসবই বিফল হয়৤
●নদীর ধারে যার ক্ষেত, স্ত্রী অন্যের প্রিয়পাত্র, পুত্র দুরাচার ও উদ্ধত সংসার যে তার কাছে মৃত্যুতূল্য এতে কোনও সংশয় নেই৤
●নানা পরীক্ষানিরীক্ষা করেই বিঘ্ন কাটাতে হয়৤
●নানাভাবে শিক্ষা পেলেও দুর্জন সাধু হয় না, নিম গাছ যেমন আমূল জলসিক্ত করে কিংবা দুধে ভিজিয়ে রাখলেও কখনও মধুর হয় না৤
●নারী ঘৃতপূর্ণ ঘটের মতো, পুরুষ তপ্ত অঙ্গারের মতো, তাই ঘৃত ও বহ্নিকে প্রাজ্ঞজন একত্র স্থাপন করেন না৤
●নারীর আহার(পুরুষের) দ্বিগুণ, বুদ্ধি চতুর্গুণ, কর্মোদ্যোগ ছয়গুণ, এবং ভোগলিপ্সা আটগুণ বেশি৤
●নিজের ত্রুটি পরে যেন না জানে, অন্যের ত্রুটি জানতে হবে৤ নিজের অঙ্গ শামুকের মতো গোপন করে পরের মনোভাব লক্ষ্য করতে হবে৤
●নিজের দোষ প্রকাশ করবে না৤
●নিজে প্রত্যক্ষ দেখলেও __শিলা জলে ভাসছে, বা বানর গান গাইছে এমন অসম্ভব কিছু বলা ঠিক নয়৤
●নিজে যে প্রজ্ঞাহীন শাস্ত্র তার কোন্ কাজে লাগবে? যে অন্ধ সে দর্পণ দিয়ে কি করবে?
●নিজের শক্তি ভালোভাবে জেনে তবেই কাজ শুরু করবে৤
●নিজের হাতে গাঁথা মালা, নিজের হাতে ঘষা চন্দন, নিজের হাতে লেখা স্তোস্ত্র ইন্দ্রের শ্রীকেও হার মানায়৤
●নির্ধনকে বন্ধু, স্ত্রী, ভৃত্য এবং সুহৃদজনেরাও ত্যাগ করে, কিন্তু সে যদি অর্থলাভ করে তবে তারা তাকেই আশ্রয় করে৤ অর্থই এজগতে পুরুষের বন্ধু৤
●নিশা পোহালেই প্রভাতে সারাদিনের করণীয় চিন্তা করে নেবে৤


●পরস্ত্রী, পরদ্রব্য, পরনিন্দা, পরিহাস এবং মান্যজনের সম্মুখে চপলতা ত্যাগ করবে৤
●পরস্ত্রীকে যে মায়ের মতো দেখে, অন্যের জিনিসকে যে মূল্যহীন মনে করে,, এবং সকল জীবকে যে নিজের মতো মনে করে সে-ই যথার্থ জ্ঞানী৤
●পরস্পরের গোপন কথা যে নরাধমেরা প্রকাশ করে, তারা উইঢিবির ভিতরকার সাপের মতো বিনষ্ট হয়৤
●পরাধীন ভৃত্যের সম্মান কোথায়, কোপন ব্যক্তির সুখ কোথায়, স্ত্রীলোকদের সততা কোথায়, খল ব্যক্তির মিত্রতা কোথায়?
●পরের অধীনে জীবিকার্জন, আশ্রয়হীন বাস, ধনহীন ব্যবসায় সবই কষ্টকর, কিন্তু দারিদ্র্য সবচেয়ে কষ্টকর৤
●পরের উপকারে যে এগিয়ে যায়, সে-ই সৎপুরুষ৤
●পরের গোপন কথা শোনা উচিত নয়৤
●পাপীরা বিক্ষোভের ভয় করে না৤
●পায়ে বেঁধা কাঁটাকে যেমন হাতের কাঁটা দিয়ে তুলে ফেলা হয়, তেমনি করে এক শত্রুকে উপকার করে বশীভূত করবে, তাকে দিয়ে অন্য শত্রুর উচ্ছেদ ঘটাবে৤
●পাশের রাজ্যের পরের রাজ্যের সঙ্গে মিত্রতা বিধেয়[পড়শীর পাশের বাড়িতে মিত্র করবে]৤
●পাঁচ বছর বয়স অবধি পুত্রদের লালন করবে, দশ বছর অবধি তাদের চালনা করবে, ষোল বছরে পড়লে তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করবে৤
●পুত্র যদি হয় গুণবান, পিতা-মাতার কাছে তা স্বর্গ সমান৤
●পুত্র, ভৃত্য ও ভার্যা যার বশে, অভাবেও যে অতি প্রসন্ন, সে এই পৃথিবীতেই স্বর্গবাস করে৤
●পুত্রকে যাঁরা পড়ান না, সেই পিতামাতা তার শত্রু, হাঁসেদের মধ্যে বক যেমন শোভা পায় না, সভার মধ্যে সেই মূর্খও তেমনি শোভা পায় না৤
●পুত্রের প্রয়োজনেই পত্নী, পিণ্ডের প্রয়োজনেই পুত্র, হিতের প্রয়োজনেই বন্ধু, কিন্তু ধনের প্রয়োজন সকল ক্ষেত্রেই৤
●পুরুষকারেই[পৌরুষ, উৎসাহ,চেষ্টা] ঈপ্সিত কাজ সফল হয়৤
●পৃথিবীর আবরণ সমুদ্র, গৃহের আবরণ প্রাচীর, দেশের আবরণ রাজা, স্ত্রীলোকের আবরণ চরিত্র৤
●প্রজাদের ক্রোধ সমস্ত ক্রোধের চেয়ে গুরুতর৤
●প্রজার সুখেই রাজার সুখ, প্রজার মঙ্গলেই রাজার মঙ্গল, নিজের মঙ্গল রাজার প্রিয় নয়, প্রজাদের মঙ্গলই রাজার প্রিয়৤
●প্রদীপ অন্ধকার ভক্ষণ করে কাজল প্রসব করে, যে যেমন আহার গ্রহণ করে সে তেমনি হয়৤
●প্রবাসে বিদ্যা বন্ধু, গৃহে ভার্যা বন্ধু, রোগীর বন্ধু ভেষজ, মৃতের বন্ধু ধর্ম৤
●প্রাজ্ঞজনদের কাছে প্রজ্ঞালাভ হয়৤
●প্রাজ্ঞদের মধ্যেও দোষ খুবই দেখা যায়৤
●প্রাজ্ঞব্যক্তি যদি দরিদ্র হন তাঁর জন্য দুঃখ করার কিছু নেই, যার বন্ধু পণ্ডিত তার জন্য দুঃখ করার কিছু নেই, তেমনি নারী বিধবা হলেও যদি সে যদি পুত্রপৌত্র দ্বারা পালিত হয়, তাহলে তার জন্য দুঃখ করার কিছু নেই৤
●প্রাণ দিয়েও বিশ্বাস রক্ষা করবে৤
●প্রার্থীকে অবজ্ঞা করবে না৤


●ফল ও ছায়াযুক্ত বড়ো গাছকে আশ্রয় করতে হয়৤ ফল যদি দৈবাৎ না-ও পাওয়া যায়, ছায়া তো আর কেউ কেড়ে নিতে পারবে না৤


●বইয়ে থাকা বিদ্যা, পরের হাতে থাকা ধন একইরকম, প্রয়োজনকালে তা বিদ্যাই নয়, ধনই নয়৤
●বলবানের সঙ্গে যুদ্ধ হল হাতির পায়ের সঙ্গে যুদ্ধের মতো[অর্থাৎ দলিত মথিত হয়ে যেতে হবে]৤
●বস্ত্রহীন অলংকার, ঘৃতহীন ভোজন, স্তনহীন নারী এবং বিদ্যাহীন জীবন ব্যর্থ৤
●বাঘ আর হাতিতে পূর্ণ বন বরং ভালো, তেমনি ভালো বনের মধ্যে ঘর, সেখানে পাকা ফল আর জল তো খাওয়া চলে, তৃণ শয্যায় শতচ্ছিন্ন কম্বল থাকলেও ক্ষতি নেই, কিন্তু স্বজনদের মধ্যে ধনহীন জীবন বৃথা৤
●বার্ধক্যে পত্নী বিয়োগ, জ্ঞাতির হাতে ধন, এবং পরাধীন ভোজন __পুরুষের এই তিন বিড়ম্বনা৤
●বালকও যদি যুক্তিপূর্ণ কিছু বলে তবে তা মন দিয়ে শুনবে৤
●বিবেকবান ব্যক্তিকে আশ্রয় করে গুণেরা আরও মনোজ্ঞ হয়ে ওঠে, যেমন স্বর্ণখচিত হয়ে রত্ন আরও শোভা পায়৤
●বিক্রমই রাজাদের সম্পদ৤
●বিচক্ষণ ব্যক্তি বর্জন করবে কুদেশ, কুবৃত্তি, কুভার্যা, কুনদী, কুদ্রব্য ও কুভোজন৤
●বিদ্বান সকল গুণের আধার, আর অজ্ঞজনের কেবলই দোষ৤ তাই হাজার মূর্খের চেয়ে একজন বিদ্বান অনেক কাম্য৤
●বিদ্যাকে ধরে থাকে অভ্যাস, কুলকে ধরে থাকে চরিত্র৤ গুণেই শিষ্টের পরিচয়৤ ক্রোধের প্রকাশ দৃষ্টিতে৤
●বিদ্যাবত্তা ও রাজপদ এ-দুটি কখনও সমান হয় না৤ রাজা কেবল নিজদেশেই সমাদৃত, বিদ্বান সর্বত্র সমাদৃত৤
●বিদ্যা ব্যতীত জীবন ব্যর্থ, কুকুরের লেজ যেমন ব্যর্থ __তা দিয়ে সে গুহ্য অঙ্গও গোপন করতে পারে না, মশাও তাড়াতে পারে না৤
●বিদ্যাভূষিত হলেও দুর্জনকে ত্যাগ করবে, মণিভূষিত হলেও সাপ কি ভয়ঙ্কর নয়?
●বিদ্যার মতো বন্ধু নাই, ব্যাধির মতো শত্রু নাই৤ সন্তানের মতো স্নেহপাত্র নাই, দৈবের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বল নাই৤
●বিদ্যার্থী, সেবক, পথিক, ক্ষুধার্ত, ভয়ার্ত, ভাণ্ডারী ও দ্বারপাল __এই সাতজন ঘুমিয়ে থাকলে তাদের জাগিয়ে দেবে৤
●বিদ্যাহীন জীবন শূন্য, বন্ধুহীন পরিবেশ শূন্য, পুত্রহীন গৃহ শূন্য, কিন্তু দারিদ্র্য থাকলে সবকিছুই শূন্য৤
●বিদ্যাহীন পুরুষ, পুত্রহীন মৈথুন, নিরাহারা প্রজাবর্গ অরাজক রাজ্য দুঃখজনক৤
●বিদ্যায় সুসংস্কৃত রাজা প্রজাদের সংস্কৃতিসাধনে নিরত থকেন৤ সমস্ত প্রাণীর কল্যাণে নিরত এমন রাজা অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে পৃথিবী ভোগ করেন৤
●বিনয়ই সকলের ভূষণ৤
●বিনয়গুণহীন প্রভু লাভের চেয়ে প্রভুহীন হওয়াই ভালো৤
●বিনাশ ও বৃদ্ধি মানুষের নিজেরই করায়ত্ত৤
●বিন্দু বিন্দু জল জমে ঘট ক্রমশ ভরে ওঠে, বিদ্যা ধর্ম ধনও ক্রমে ক্রমে বেড়ে ওঠে৤
●বিপদ থেকে উদ্ধার পাবার জন্য ধন রক্ষা করবে, ভার্যাকে রক্ষা করার জন্য ঐ ধনও ত্যাগ করবে৤ আর নিজেকে রক্ষ করতে ভার্যা ও ধন উভয়ই ত্যাগ করবে৤
●বিপুল অর্থ যার আছে সে ব্রহ্মঘাতী হলেও পূজ্য হয়, আর চন্দ্রবংশের তূল্য উচ্চবংশজাত নির্ধন হলেও অবজ্ঞাত হয়৤
●বিষ থেকেও অমৃত আহরণ করা চলে, মলাদি অশুচি বস্তু থেকেও স্বর্ণ আহরণ করা যায়, নীচ জাতি থেকেও উত্তম বিদ্যা আহরণ করা যায়, নীচকূল থেকেও স্ত্রীরত্ন গ্রহণ করা চলে৤
●বিষয়াসক্ত মন বন্ধনকে বরণ করে, আসক্তিহীন মনই মুক্তির পথে যায়৤ মনই মানুষের বন্ধন ও মুক্তির কারণ৤
●বিষহীন সাপেরও ফণা তোলা উচিত৤ বিষ থাকুক বা না থাকুক ফণাবিস্তারটাই ভয়ংকর৤
●বুদ্ধিমান একপায়ে চলেন,একপায়ে দাঁড়ান,পরবর্তী স্থান ভালো করে না দেখে পূর্বস্থান ত্যাগ করেন না৤
●বুদ্ধিমান কখনও অর্থনাশ, মনস্তাপ, গৃহের অনাচার, বঞ্চনা ও অপমান বাইরে প্রচার করে না৤
●ব্যাধি হল শত্রুর চেয়েও ভয়ংকর৤
●বংশের দোষে লোকে কৃপণ, কর্মদোষে দরিদ্র, মায়ের দোষে প্রমত্ত, আর পিতৃদোষে হয় মূর্খ৤
●ব্রহ্মজ্ঞানী স্বর্গকে তৃণের মতো মনে করে, বীরের কাছে জীবন তৃণের মতো তুচ্ছ, জিতেন্দ্রিয়ের কাছে রমণী এবং বীতরাগের কাছে জগৎ তৃণের মতোই তুচ্ছ৤
●ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈদ্যের গুরু অগ্নি,চারটি বর্ণের গুরু ব্রাহ্মণ,স্ত্রীর গুরু স্বামী,অতিথি সকলের গুরু৤
●ব্রাহ্মণেরা ভোজনে খুশি, ময়ূরেরা মেঘের ডাকে, সাধুরা ঈশ্বরের করুণা পেলে, আর খলেরা খুশি পরের দুর্গতি ঘটিয়ে৤


●ভবিতব্যতা যেমন বুদ্ধিও ঠিক তেমনি হয়, কর্মধারাও তেমনি, সহায়তাও তেমনি৤
●ভাতের চেয়ে দশগুণ পিঠে, পিঠের চেয়ে দশগুণ দুধ, দুধের চেয়ে দশগুণ মাংস, মাংসের চেয়ে দশগুণ ঘি(পুষ্টি দেয়)৤
●ভৃত্যকে পরীক্ষা করবে কাজে নিযুক্ত করে, কোনও অঘটন ঘটলে চিনবে স্বজনকে, বিপদে চিনবে বন্ধুকে, পত্নীকে চিনবে ধনক্ষয় হলে৤
●ভেবেচিন্তে যে কাজ করে, তার শ্রী চিরস্থায়ী৤
●ভোগবাসনায় বুদ্ধি আচ্ছন্ন হয়৤
●ভ্রমণে রাজা, ব্রাহ্মণ, যোগীর সম্মান, কিন্তু এই ভ্রমণেই নারীর বিনাশ৤


●মনের বাসনা কার সবটা পূর্ণ হয়? সমস্তই দৈবের অধীন, তাই সন্তোষকে আশ্রয় করাই শ্রেয়৤
●মনের সংকল্প প্রকাশ করবে না,সংকল্পিত কাজের কথা অন্যে জানতে পারলে সে কাজ সফল হয়না৤
●মাংসাশী মদ্যপায়ী এবং অক্ষরজ্ঞানহীন মূর্খ __এই সব পুরুষাকার পশুর দ্বারা এই পৃথিবী ভারাক্রান্ত৤
●মিত ভোজনেই স্বাস্থ্যলাভ হয়৤
●মূর্খ শিষ্যের উপদেশে, দুষ্ট স্ত্রীকে পালনে এবং শত্রুদের কূটচক্রে পণ্ডিত বিনষ্ট হয়৤
●মূর্খত্ব কষ্টকর, যৌবন কষ্টকর সন্দেহ নেই, কিন্তু পরগৃহে বাস সব চেয়ে কষ্টকর৤
●মূর্খের কাজ অবাঞ্ছিত হবে, তা নিয়ে বেশি ভেবে লাভ নেই৤
●মৃগয়ায় যে আসক্ত তার ধর্ম ও অর্থ দুই-ই নষ্ট হয়৤
●মেঘের মতো জল নাই, আত্মার মতো বল নাই, চোখের মতো তেজ নাই, অন্নের মতো প্রিয় নাই৤
●মেধাবী এবং বাকপটু, প্রাজ্ঞ, পরের মন বোঝায় যিনি দক্ষ, যিনি ধীর এবং ঠিক যা বলা হয়েছে তা-ই বলেন, তিনিই দূত হবের যোগ্য৤


●যশবানের বিনাশ নেই৤
●যা ঘটে গিয়েছে তার জন্য শোক করা উচিত নয়, ভবিষ্যতের জন্যও শোক বিধেয় নয়, বিচক্ষণেরা বর্তমান কালেই যথোচিত কর্ম করে চলেন৤
●যাদের বুদ্ধি আছে তারা করে খেতে পারে৤
●যার গুণ আছে সে বেঁচে আছে, যার ধর্ম আছে সেও বেঁচে আছে, গুণ বা ধর্ম যার নেই তার বেঁচে থাকা নিষ্প্রয়োজন৤
●যার চিত্ত চঞ্চল তার ইহকালও নাই পরকালও নাই৤
●যার মনে যে বাস করে, দূরে থেকেও সে দূরে নয়৤ যে যার হৃদয়ে নেই, কাছে থেকেও সে দূরে৤
●যার স্থৈর্য নাই, তার জীবনধারণই বিঘ্নিত৤
●যার যার যে ভাব, সেই সেই ভাবে অনুপ্রবিষ্ট হয়ে প্রাজ্ঞজন তাদের নিজের বশে আনবেন৤
●যারা নীচ তারা পরযশরূপ অগ্নিতে দগ্ধ হয়, কিন্তু সেই পদে উন্নীত হতে না পেরে তারা যশস্বীর নিন্দা করতে শুরু করে৤
●যাঁরা রূপযৌবনসম্পন্ন এবং উচ্চকূলজাত হয়েও বিদ্যাহীন তাঁরা সুবাসহীন পলাশ ফুলের মতো বেমানান৤
●যুগান্তে মেরু কম্পিত হতে পারে, কল্পান্তে সপ্ত সাগর উদ্বেলিত হতে পারে, কিন্তু সাধুরা যা প্রতিজ্ঞা করেন তার থেকে সরে যান না৤
●যে অলস অলব্ধ লাভ(অর্থাৎ যা পাওয়া হয়নি, তা লাভ) তার হয় না৤
●যে কঠোর দণ্ড দেয় তাকে কেউ দেখতে পারে না, যে মৃত্যু দণ্ড দেয় তাকে সবাই অবজ্ঞা করে, যে যথাযথ দণ্ড দেয় সবাই তাকে সম্মান করে৤
●যে কাজ সিদ্ধ হলেও কোনও উল্লেখযোগ্য ফল ফলে না, কিন্তু বিফল হলে বড়োরকমের অনিষ্টের সম্ভাবনা থাকে, প্রাজ্ঞজন সে কাজ করবেন কেন?
●যে কালজ্ঞ সে-ই কার্যসাধন করতে পারে৤
●যে কৃষকের ঘরে সর্বদা প্রচুর অন্ন থাকে, এবং যার রোগ নেই, তার নিত্যই সুখ৤ যার স্ত্রী অনুগতা তার গৃহে নিত্যই উৎসব৤
●যেখানে শাস্ত্রের অনুশাসন নেই, সেখানে শিষ্টাচার অনুসরণীয়৤
●যে গাভী দুধও দেয় না, গর্ভ ধারণও করে না, সে গাভী দিয়ে কি হবে? সে পুত্র দিয়ে কী হবে যে বিদ্বান ও ভক্তিমান নয়?
●যে নিজে দুর্বল, তার আশ্রয় নিলে দুঃখই বয়ে আনে৤
●যে দুর্বল হয়ে পড়েছে তার মিত্রতা করাই ভালো৤
●যে দেশে সম্মান, কর্মসংস্থান, বন্ধু ও কোনও বিদ্যাচর্চার সুযোগ নেই সে দেশ বর্জন করবে৤
●যে পিতামাতা ছেলেকে শিক্ষাদান করেন না, তাঁরা তার শত্রু৤ হাঁসের মধ্যে বক যেমন, তেমনি বিদ্বজ্জন সভার মধ্যে সেই ছেলেও বেমানান৤
●যে বন্ধু একবার খারাপ ব্যবহার করে, তার সঙ্গে প্রীতির সম্পর্ক স্থাপন করলে অশ্বতরীর গর্ভ ধারণের মতো তা বিনাশের কারণ হবে৤
●যে ব্যসনাসক্ত[নারী,মদ,অপরাধে আসক্ত] তার কার্যসিদ্ধি ঘটে না৤
●যে ভীরু তার কাজের চিন্তা নাই, কারণ ভয়ে সে কোনও কাজেই যে হাত দেয় না৤
●যে যার গুণের বিষয় জানে না, সে যে সর্বদা তার নিন্দা করেবে এতে আশ্চর্য কিছু নেই, ব্যাধ যেমন গজকুম্ভ থেকে মুক্তা পেয়েও গুঞ্জাফল ধারণ করে তেমনি৤
●যে লোহা তপ্ত নয়, তাকে লোহার সঙ্গে জুড়তে যাবে না৤
●যে সবল অলব্ধ লাভে(অর্থাৎ যা পাওয়া হয়নি, তা লাভে) তার যত্নবান হওয়া উচিত৤


●রাজ পুরোহিত হবেন বেদ ও বেদান্ত বিষয়ে অভিজ্ঞ, জপ ও হোমে নিষ্ঠাবান এবং আশীর্বচনে মুক্তকণ্ঠ৤
●রাজমহিষী, গুরুপত্নী, বন্ধু পত্নী, শ্বশ্রূ ও নিজের মাতা __এই পাঁচ নিয়ে পঞ্চমাতা৤
●রাজা নীতিশাস্ত্র মেনে চলবেন৤
●রাজা পুত্রকে এবং শত্রুকে দোষানুযায়ী নিরপেক্ষভাবে যে দণ্ড দেন সেই দণ্ডই কেবল ইহলোক ও পরলোককে রক্ষা করে৤
●রাজা প্রাজ্ঞজনকে কাজে নিযুক্ত করলে তার তিনটি গুণ প্রকাশ পায় __যশ, স্বর্গবাস এবং বিপুল ধনলাভ৤
●রাজা মূর্খকে কাজে নিযুক্ত করলে তার তিনটি দোষ প্রকাশ পায় __অখ্যাতি, স্বার্থহানি এবং নরকবাস৤
●রাজা যদি নীচবংশে জন্ম নেয়, মূর্খের পুত্র যদি পণ্ডিত হয়, দরিদ্র যদি ধন পায়, তবে তারা ধরাকে সরা বলে মনে করে৤
●রাজাকে[অর্থাৎ পরাক্রমশালীকে] অগ্নি মনে করে তার শরণ নেবে৤
●রাজার বল বাহুবল, ব্রাহ্মণের বল ব্রহ্মবিদ্যা, স্ত্রীলোকের অতুল বল তার রূপ ও যৌবনের লাবণ্য৤
●রাজারা একবারই কথা বলেন, প্রজ্ঞেরাও একবারই কথা বলেন, কন্যাদের একবারই সম্প্রদান করা হয়৤ এই তিনটি বিষয় একবারই করা হয়৤
●রাতে ভ্রমণ বিষতুল্য, রাজার আনুকূলতাও তাই৤ অন্যে আসক্তা স্ত্রী বিষতুল্য, অচিকিৎসিত ব্যাধিও তাই৤
●রাতের ভূষণ চাঁদ, নারীর ভূষণ পতি,পৃথিবীর ভূষণ রাজা,কিন্তু বিদ্যা সবার ভূষণ৤[জগতে বিদ্যাই শ্রেষ্ঠ ধন]৤


●লুকিয়ে থাকা সাপ যে জিনিস থেকে ভয় পায়, সেখানে বিষ ঢালে, তেমনি রাজাও যেখান থেকে ভয় পায় সেখানে ক্রোধ বর্ষণ করে৤
●লেখক যে হবে তাকে সময়ের গুণাগুণ জানতে হবে, দ্রুত রচনা করতে হবে, তার হাতের লেখা ভালো হতে হবে, এবং তাকে দলিল পড়ায় দক্ষ হতে হবে৤
●লোকের জীবন-মৃত্যু হল দারিদ্র্য৤
●লোভীকে অর্থ দিয়ে বশ করবে, ক্রুদ্ধকে বিনয়ে বশ করবে, মূর্খকে তার মনের অভিপ্রেত কথা বলে বশ করবে, আর যে পণ্ডিত তাঁকে সত্য বাক্যে বশ করবে৤


●শত্রুর কাছ থেকেও সুগুণ গ্রহনীয়৤
●শত্রুরা ছিদ্রেই আঘাত হানে৤
●শান্তির মতো তপস্যা নেই, সন্তোষের মতো সুখ নেই, বাসনার চেয়ে বড় শত্রু নেই, দয়ার মতো ধর্ম নেই৤
●শাস্ত্র অনন্ত, বিদ্যাও প্রচুর৤ সময় অল্প অথচ বিঘ্ন অনেক৤ তাই যা সারভূত তারই চর্চা করা উচিত, হাঁস যেমন জল-মিশ্রিত দুধ থেকে শুধু দুধটুকুই তুলে নেয় তেমনি৤
●শাস্ত্রচোখ যার নেই সেই অন্ধ যা খুশি করে বেড়ায়, একগুঁয়ে হয়, অথবা পরের বুদ্ধিতে চলে৤
●শুকনো মাংস, বৃদ্ধা স্ত্রী, প্রভাতের সূর্য, কাঁচা দই, প্রভাতে মৈথুন ও নিদ্রা-- এই ছয়টি প্রাণহানি ঘটায়৤
●শৈশবে তথা প্রথম বয়সে যে বিদ্যা অর্জন করেনি, দ্বিতীয় বয়সে অর্থাৎ যৌবনে ধন অর্জন করেনি, তৃতীয় বয়সে অর্থাৎ প্রৌঢ়দশায় পুণ্য অর্জন করেনি, সে চতুর্থ বয়সে তথা বার্ধক্যে আর কী করবে?




●সকল কাজের মূলেই অর্থ৤
●সক্রিয় না হলে পাওয়া, বা না-পাওয়া সব কিছুরই বিনাশ৤ সক্রিয় প্রচেষ্টাতেই ফল পাওয়া যায় এবং অর্থসম্পদ লাভ হয়৤
●সজ্জনের মত লঙ্ঘন করবে না৤
●সত্যনিষ্ঠ লোকের অপ্রাপ্য কিছুই নাই৤
●সত্য বাক্য দুর্লভ, হিতকারী পুত্র দুর্লভ, সমমনস্কা পত্নী দুর্লভ, প্রিয় স্বজনও তেমনি দুর্লভ৤
●সদ্য কাটা মাংস, নবান্ন, যুবতী স্ত্রী, দুগ্ধপান, ঘি ও গরম জল __এই ছয়টি সদ্য প্রাণ দান করে৤
●সন্তুষ্ট রাজার মতো অসন্তুষ্ট ব্রাহ্মণ বিনষ্ট হয়, সলজ্জ গণিকা এবং নির্লজ্জ কুলস্ত্রীও বিনষ্ট হয়৤
●সব পাহাড়েই মানিক থাকে না, সব গজেই মুক্তা থাকে না, সব জায়গাতেই সজ্জন থাকে না, সব বনেই চন্দন তরু থাকে না৤
●সমর্থ লোকের কাছে কোনও কাজই গুরুভার নয়, যে ব্যবসায়ী তার কাছে কোনও দেশই দূরবর্তী নয়, যে বিদ্বান তার কাছে বিদেশ বলে কিছু নেই, যে প্রিয়বাদী কেউই তার পর নয়৤
●সমস্ত কাজের আগে সুমন্ত্রণা প্রয়োজন৤
●সময়ের অপেক্ষায় যে থাকে, সময় তার কাছে একবারই আসে৤ কর্ম অভিলাষী মানুষের পক্ষে পরে আর সেই সময়টিকে ফিরে পাওয়া খুবই কঠিন৤
●সমাজ ভয় লজ্জা দাক্ষিণ্য ও ত্যাগশীলতা __এই পাঁচটি যেখানে নেই সেখানে বাস করবে না৤
●সমুদ্রে বৃষ্টি বৃথা, পরিতৃপ্তের কাছে ভোজন বৃথা, ধনীকে দান বৃথা, তেমনি দিনের বেলা দীপ বৃথা৤
●সর্বজীবে করুণায় যার চিত্ত দ্রবীভূত তার জ্ঞান, মোক্ষ, বা জটা-ভস্মলেপন কিছুরই দরকার নেই৤
●সহস্র ধেনুর মধ্যে বাছুর যেমন মায়ের কাছে ছুটে যায়, ঠিক তেমনি কৃতকর্মও কর্তার কাছে ছুটে যায়৤
●সাপ নিষ্ঠুর খলও নিষ্ঠুর, কিন্তু সাপের থেকে খল বেশি নিষ্ঠুর৤ সাপকে মন্ত্র ও ওষধি দিয়ে বশ করা যায়, কিন্তু খলকে কে বশ করতে পারে?
●সাপ, রাজা, বাঘ, কীট, বালক, পরের কুকুর ও মূর্খ __এই সাতজন ঘুমিয়ে থাকলে তাদের জাগাবে না৤
●সিংহ থেকে একটি গুণ, বক থেকে একটি গুণ, কুকুর থেকে ছয়টি গুণ, গাধা থেকে তিনটি গুণ, কাক থেকে পাঁচটি গুণ, এবং মোরগ থেকে চারটিগুণ শিখবে৤
●সিংহ থেকে গ্রহণীয় গুণ __অল্প হোক বা বেশি হোক, যে কাজ করতে চায়, তা সে ঠিক মতো যত্ন নিয়ে করবে৤
●বকের গুণ __মানুষ বকের মতো নিজের ইন্দ্রিয়গুলো বশে রেখে দেশ কাল, পাত্রাদি চিন্তাকরে সমস্ত কাজ করুক৤
●কুকুরের ছয়টি গুণ-- বেশি খেতে পারে তবু অল্পেই খুশি, সহজেই ঘুমিয়ে পড়ে আবারজেগেও ওঠে, প্রভুভক্ত এবং সাহসী৤
●গাধার তিনটি গুণ __নিরন্তর ভার বয়, শীত-গ্রীষ্মের তফাৎ জানে না, এবং সব সময়ে সন্তুষ্ট৤
●কাকের পাঁচটি গুণ __গোপনে মৈথুন, কর্তব্যকর্মে লজ্জা ত্যাগ, যথাকালে বস্তু সঞ্চয়, সতর্কতা ও আলস্যহীনতা৤
●মোরগের চারটি গুণ-- প্রাতরুত্থান, যুদ্ধ, সপরিবারে ভোজন, বিপন্ন স্ত্রীকে রক্ষা৤
●সুখ চাইলে বিদ্যা ত্যাগ করো, আর বিদ্যা চাইলে সুখ ত্যাগ করো৤ সুখার্থীর বিদ্যা কোথায়, বিদ্যার্থীর সুখ কোথায়?
●সুখাদ্য বা অখাদ্য যা-ই হোক, অজীর্ণে কিছুই খাওয়া উচিত নয়৤
●সুবেশ ভূষিত মূর্খকে দূর থেকেই দেখতে ভালো, যতক্ষণ সে কোনও কথা না বলে ততোক্ষণই তার শোভা[কথা বললেই মূর্খতা প্রকাশ পাবে]৤
●সে-ই পুত্র যে পিতৃভক্ত, সে-ই পিতা যিনি পুত্র পালক, সে-ই মিত্র যাকে বিশ্বাস করা চলে, সে-ই ভার্যা যেখানে শান্তি৤
●সৌজন্যের আধিক্য শঙ্কারই কারণ[অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ?]৤
●স্ত্রীরত্নের মতো রত্ন নাই৤
●স্ত্রী লোকেরাও স্ত্রৈণ পুরুষ দেখতে পারে না৤


●হজম হলে খাবার, অদোষে যৌবন কেটে গেলে ভার্যা/স্ত্রী, যুদ্ধ থেকে ফিরে এলে বীর, (ক্ষেত থেকে) ঘরে এলে শস্য প্রশংসনীয় হয়৤
●হাতি থেকে একহাজার হাত দূরে, ঘোড়া থেকে একশ হাত দূরে, মোষ ইত্যাদি শৃঙ্গধারী প্রাণী থেকে দশ হাত দূরে থাকবে৤ দুর্জনের কাছ থেকেও তেমনি দূরে থাকবে৤
●হাতিকে তাড়না করা হয় ডাঙস দিয়ে, ঘোড়াকে হাত দিয়ে, শিংওলা জানোয়ারকে লাঠি দিয়ে, আর দুর্জনকে খাঁড়া দিয়ে৤
●হে পিতা, যদি মুক্তির ইচ্ছা কর তবে বিষয়কে বিষবৎ পরিত্যাগ করো৤ ক্ষমা, সরলতা, দয়া, শৌচ ও সত্ত্বগুণকে অমৃতের মতো পান করো৤





বিবিধ ভাবনা
প্রযত্নে:ডিসকাস(DISCuSS)

দীনশচন্দ্র সদন

বিজ্ঞান সংস্কৃতি ও সামাজিক সার্বভৌমত্বের জন্য
Dineshchandra Institute of
Science
Culture and
Social Sovereignty
অগ্রগতির জন্য বিদ্যালোচনার সকল শাখার চর্চা৤
For the Cultivation of all Disciplines for Advancement

মণীশ বইঘর

(মণীশ পার্ক)

সুখদা ভবন


তারামণি উৎকর্ষ কেন্দ্র

Taramani Centre for Excellence
● ইতিহাস এখানে কথা কয় ●
--------____●●____

ভাবনা
●অতি লাভের আশায় নিজের সাধ্যের বাইরে কিছু করতে গেলে ধনও যায়, মানও যায়৤
●এক যুগের সত্য আর এক যুগের সত্য নাও হতে পারে৤ যুগোপযোগী করে সত্যকে গড়ে নিতে হবে৤
●কারও উপরে অতি বেশি আস্থা স্থাপন করা ঠিক নয়৤
●কোনও অবস্থাতেই নিরাশ বা হতাশ হবে না, ঝড় কেটে গেলে দেখা যাবে ক্ষতি অনেকটা পূরণ করে নেওয়া যাবে৤
●নির্বুদ্ধি বন্ধুও শত্রুর মতো খারাপ৤
●বিকৃতদেহীকে বা অক্ষমকে নিন্দা করলে নিজের অগুণই প্রকাশ পায়৤
●বিপর্যয় কালে মানুষের সত্যরূপ চেনা যায়৤
●বিপর্যয়ে যে ছেড়ে যায় সে বন্ধু নয়৤
●মেয়েদের শ্বশুর বাড়ি বলে কিছু নেই, সেটাই তার নিজের বাড়ি৤ বাপের বাড়ি হল বেরু বাড়ি __বেড়াতে যাবার জন্য৤
●যৌনতা জীবনের মূল উৎসার বা চালিকা শক্তি, কিন্তু তার অতিরেক জীবন ও সমাজকে বিনষ্ট করে৤
●সভ্যতা এবং শিষ্টতার মূল কথা কি __অন্যের অসুবিধা না হয় তা দেখা৤
●সোনা খুবই ঈপ্সিত ধাতু কিন্তু তা দিয়ে তৈজসপত্র বা আসবাব
হয় না, পৃথিবীর প্রায় সকল কিছুরই ভালো এবং মন্দ দিক আছে৤
●হারতেই যদি হয়, ছেড়ে দিয়ে হারা নয়৤ জয়ও তো হতে পারে৤ সম্ভাবনা আধাআধি৤


কথা সঞ্চয়
●দৈবকে অতিক্রম করা দুঃসাধ্য, তাই কর্তব্যকর্ম যথাযথ করে যেতে হবে৤ মা ফলেষু কদাচন...
●মুখের কথায় জগৎকে ভোলাতে হয়৤ যে মুখ বুজে থাকে, জগতে সে বঞ্চিত হয়৤
● যার সহ্য শক্তি আছে, যে সইতে পারে সে টিঁকে থাকে
●কোনও অবস্থাতেই নিরাশ হবে না, ঝড় কেটে গেলে দেখা যাবে ক্ষতি অনেকটা পূরণ(adjust, rearrange) করে নেওয়া যাবে৤ আর নিরাশ হয়ে করবে কী? তাতে ক্ষতির মাত্রা বাড়বে বই কমবে না৤
●হতাশ হোয়ো না৤ আনন্দউৎফুল্ল থাকো, সন্তোষ বজায় রাখো৤
●পাপের ভাগ যার, তাকেই তা ভোগ করতে হবে৤ ভোগকারী হয়তো সচেতনভাবে তা ভোগ করে না, কিন্তু পার নেই৤ সজ্ঞান পাপী, অজ্ঞান পাপী কারওই রেহাই নেই৤ অজ্ঞাতে বিষ খেলে সে বিষে ক্রিয়া হবে না?
●যেচে যাকে উপকার করছ, তাকে শত্রু তৈরি করছ৤
●মানুষ প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ বাণী৤
●অক্ষম পুস্তক(বই) জ্ঞানকে খণ্ডিত করে৤
●সৌন্দর্যমণ্ডিত সুরুচিপূর্ণ প্রকাশই হল সংস্কৃতি৤
●একজন মানুষ যখন বিপদে পড়ে তখনই তাকে সবচেয়ে ভালো চেনা যায়৤
●মানুষ উদার হয় যখন সে বিপর্যস্ত, অথবা সে হঠাৎ অঢেল পেয়েছে৤
●সময় নষ্ট কোরো না, এসময় আর ফিরে আসবে না৤
●হিমশৈলের চূড়া দেখে এর গভীরতা বোঝা যায় না, বিপদের সংকেত দেখেও অনেক সময়ে এর বিশালতা বোঝা যায় না৤

--------------- ০০ ---

কোন মন্তব্য নেই: